বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে মেহেদী হাসান তানিমঃ কেবল সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে কিশোরীটি। করোনা মহামারীতে বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়। সেকারণে বাড়িতেই থাকা। সুযোগ পেয়ে পরিবারের লোকজন কিশোরীটিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে দিচ্ছিলেন। পরিবারের এই অদ্ভুট সিধান্তের ফলে কিশোরীটির শিক্ষা জীবনে নেমে এসেছিল বাল্যবিয়ের আধার। তবে সেই আধার বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
শুক্রবার রাতে যখন কিশোরীটির বিয়ের ধুমধাম আয়োজন চলছিল, তখন বিয়ে বাড়িতে হাজির হন গুরুদাসপুরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবু রাসেল। মুহূর্তেই বন্ধ হয় বিয়ের আয়োজন।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারবারিষা ইউনিয়নের সিধুলী গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়ি। সেখানেই চলছিল তার বাল্যবিয়ের আয়োজন। বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে শাস্তি সরুপ কিশোরীর পিতাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে মেয়ের পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার জন্য মুচলেকা নেওয়া হয়। এছাড়া কিশোরীটির পরিবারকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি পাওয়া কিশোরী জানায়- সে সিধুলী নিম্নমুখি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি পড়ছে। লেখা-পড়া শেষ করে সে বড় চিকিৎসক হতে চায়। কিন্তু পরিবারের লোকজন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করেছিল। বিয়েতে সম্মতি না থাকলেও পরিবারের ওপরে কিছু বলার ছিলনা। এখন বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ায় আবার সে বিদ্যালয়ে যেতে পারবে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেল বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কিশোরীটির বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। কিশোরীটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। বাল্যবিয়ে হলে অকালে তার লেখা-পড়া বন্ধ হতো। বিয়েটি বন্ধ করায় আবার বিদ্যালয়ের সুযোগ পেল ওই কিশোরী।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply