পটুয়াখালী থেকে এম কে রানাঃ পটুয়াখালীতে করোনার প্রকোপ দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় পটুয়াখালী পৌর শহরকে ২১ দিন লকডাউনে রাখার এক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পটুয়াখালী পৌরসভার ৫টি ওয়ার্ডকে রেড জোন, ২ টি ওয়ার্ডকে ইয়োলো জোন এবং ২ টি ওয়ার্ডকে গ্রীনজোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউনের ঘোষনা করা হয়েছে। গতকাল রোববার (১৪ জুন) বিকেলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা রোধে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী সহ এ সভায় পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সিপন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. গোলাম সরোয়ারসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ২,৩,৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড রেড জোন, ৪, ৫ নং ওয়ার্ড ইয়োলো ১ ও ৯ নং ওয়ার্ড গ্রীন জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। রবিবার বিকালে দরবার হলে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বিভাজন করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করলেই পটুয়াখালী পৌর শহরকে ২১ দিন লকডাউন কার্যকর করা হবে।

পটুয়াখালীর রেডজোনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের এলাকা গুলোর নাম হলোঃ- ০২ নং ওয়ার্ডের এলাকাগুলো -বাধেরর কালভার্ট থেকে মুকুল হল, কাঠপট্টি, শিমুলবাগের কালভার্ট, ০৩ নং ওয়ার্ডের এলাকাগুলো হলো; ফৌজদারী পুল, পুরান বাজার, ০৬ নং ওয়ার্ডের এলাকাগুলো হলো- স্বনির্ভর রোড, নতুন বাজার,চড়পাড়া। ০৭ নং ওয়ার্ড- রেজিস্ট্রি পুলের পশ্চিম পার্শ্ব হইতে নিউ মার্কেট, সদর হাসপাতাল, মৃধাবাড়ি সড়ক। ০৮ নং ওয়ার্ড- তিতাস হলের পশ্চিম পার্শ্ব , শেরেবাংলা স্কুল, কলাতলা বাজার, রশিদ কিশলয়।

ইয়োলো জোনের মধ্যে রয়েছে– ০৪ নং ও ০৫ নং ওয়ার্ড। ৪ নং ওয়ার্ডগুলোর এলাকা হচ্ছে কলেজরোড, বনানি, পলিটেকনিক কলেজ, জেলখানা, আরামবাগ, দঃ সবুজবাগ, গরুরবাধ, ভোকেশনাল। ০৫ নং ওয়ার্ডের এলাকা হচ্ছে পৌরসভা, মুসলিমপাড়া, মুন্সেফ পাড়া, পিটিআই, রশিদ কিশলয়ের পশ্চিম পার্শ্ব, গার্লস স্কুল রোড, সেন্টার পাড়া, লঞ্চঘাট, বড় মসজিদ এলাকা এবং গ্রীনজোনের মধ্যে রয়েছে ০১ নং ওয়ার্ড ও ০৯ নং ওয়ার্ড। ০১ নং ওয়ার্ডের এলাকা গুলো হচ্ছে টাউন বহাল গাছিয়া, টাউন জৈনকাঠী ও ০৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে- রুস্তুম মৃধার কালভার্টের পশ্চিম পার্শ্ব, হেতালিয়া বাধঘাট, নন্দকানাই, চৌরাস্তা ও আব্দুল হাই স্কুল।