গাজীপুর থেকে সাইফুল আলম সুমনঃ— বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও মাদকদ্রব্য দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে শ্রীপুরে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা। মানববন্ধনে সংবাদ কর্মীরা বক্তব্য দিয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি তার দুর্নিতীবাজ ডিসি সুলতানা পারভীনকে প্রত্যাহার ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

রবিবার বেলা সোয়া ১১টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত এক ঘন্টাব্যাপী শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গাজীপুরে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুনঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ইবি’র ল্যাবরেটরি স্কুলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউনের গাজীপুর প্রতিনিধি রায়হানুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে ও এশিয়া টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধি আরিফ খান আবিরের সঞ্চালনায় মাববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও ডেইলী স্টার’র গাজীপুর প্রতিনিধি প্রভাষক আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ, সাধারন সম্পাদক ও ভোরের ডাকের সংবাদদাতা কাজী আকতার হোসেন, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মানিক, এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক নবরাজের শ্রীপুর প্রতিনিধি কবির সরকার, শ্রীপুর উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের দর্পণের প্রতিনিধি এমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ দৈনিক আমার বার্তা প্রতিনিধি সাইফুল আলম সুমন, দৈনিক গণমুক্তির গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মোক্তার হোসেন, দৈনিক গণমুক্তির ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, দৈনিক সবুজ নিশানের শ্রীপুর প্রতিনিধি ও আলোকিত নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক সাদেক মিয়া, সকালের সময়ের নাঈম মেহেদী, মুক্ত খবরের মোঃ সেলিম শেখ, ঢাকা প্রতিদিনের সোহেল রানা, আমার সংবাদের মাসুদ রানা, দৈনিক মানজমিনের এনামুল হক আকন্দ, তৃতীয় মাত্রার প্রতিনিধি আরিফ মন্ডল, দৈনিক অধিকারের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রউফ রুবেল, যোগফলের প্রতিনিধি মোজাহিদ শেখ, দৈনিক বাংলা ভূমির আব্দুল লতিফ আনসারী, বিজনেস বাংলাদেশের তানভীর আহমেদ, সাংবাদিক আরিফ প্রধান সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

বক্তারা আরো বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে একজন সাংবাদিক সত্য কথা প্রকাশ করবেন এটা তার সাংবিধানিক অধিকার। যারা তার এ সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করে ডাকাতের মতো ঘরের দরজা ভেঙ্গে ধরে নিয়ে গিয়ে এক বছরের সাজা দিয়েছে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও অবিলম্বে সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তি আশা করছি।

আরও পড়ুনঃ বেতাগীতে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আলোচনা সভা

বক্তারা বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে জাতি কখনোই সাংবাদিকদের প্রতি এরকম আচরণ আশা করে না। সাংবাদিকের সাথে এরকম আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করার শামিল।দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরেই সাংবাদিককে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মদ ও গাজা দিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সুষ্ঠু তদন্ত করে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে সাজানো এ দায় থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।