আশুলিয়া থেকে আবুল কাশেমঃ ঢাকার নিকটবর্তী শিল্পাঞ্চল সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন প্রায় দুই শতাধিক জাতীর সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রায় ৩৮টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীতা হওয়ার ঘোষণা দেন।

এসময় মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সবসময় তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। জীবনের এই দীর্ঘ সময় অতিক্রম করে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে (ঢাকা-১৯ আসন) দল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ কন্যা শেখ হাসিনার কাছে নমিনেশন চাইবো। আমার চাওয়া থাকবে এলাকার তৃণমূলে যাহারা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে তাদের মূল্যয়ন করবে এটাই আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ কন্যা শেখ হাসিনার নিকট প্রতাশ্যা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত গণত্রান্ত্রিক রাজনৈতিক একটি সংগঠন। গণতন্ত্রে প্রতিযোগীতা থাকবে এটিই স্বাভাবিক। প্রতিযোগীতা যেনো কোন প্রতিহিংসায় পরিনত না হয় সেটিই হচ্ছে বিবেচ্চ বিষয়। আমার নেত্রী মানবতার মা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি সেটি সাদরে গ্রহণ করবো। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, সাভার পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার। অন্যদিকে আশুলিয়ার ৫ ইউনিয়নে ভোটার ৫ লাখ ১৬ হাজার। তার মধ্যে শুধু ধামসোনা ইউনিয়নে ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি। এছাড়াও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন সাইফুল ইসলাম।

আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ সুমন ভূইঁয়ার সঞ্চালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাভার-আশুলিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা, আশুলিয়া থানার সকল ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও আ.লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।