বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
লোহাগাড়া থেকে অমিত কর্মকারঃ— দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত ও আক্রান্ত ব্যাক্তির সংখ্যা। কোনক্রমেই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না এ প্রাণঘাতী করোনার। ১৫ এপ্রিল বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ রাঙ্গুনিয়ায় আ.লীগ ও যুবলীগ নেতার পক্ষে এম এ হান্নান আশ্রয় পল্লীর মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ্য এই জারির পর থেকে লকডাউন কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে অন্য উপজেলার কেউ লোহাগাড়ায় প্রবেশ করতে পারবে না। লোহাগাড়া থেকেও কেউ বের হতে পারবে না। উপজেলায় প্রবেশের সব পথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিত যানবাহন ও ব্যক্তি এই সিদ্ধান্তের আওতামুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুনঃ বাঁশখালীতে চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন দরিদ্রের মাঝে
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং সংক্রমিত জেলা ও উপজেলাসমূহ থেকে জনসাধারণের প্রবেশ ও বাহির নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপজেলা কমিটি’র সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লোহাগাড়াকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। জনস্বার্থে এ আদেশ কার্যকর করা হল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লকডাউনের সময় জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হল। তবে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, রোগী, ওষুধ বহনকারী যানবাহন ও কর্মী। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য, শিল্পপণ্য, শিশু খাদ্য, পশু খাদ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মী। কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালালি, সংবাদপত্র বহনকারী ও কর্মী।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, সাতকানিয়ায় মারা যাওয়া ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর লোহাগাড়া ভবনসহ একটি হাসপাতাল ও জঙ্গল পদুয়ায় ৪ পরিবারকে লকডাউন করেছি। যেহেতু পাশ্ববর্তী উপজেলার করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই উপজেলা প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকে লোহাগাড়াকে লকডাউন ঘোষণা করে। এ পর্যন্ত লোহাগাড়ার ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাদের কারো শরীরে করোনা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ বাইরে অহেতুক ঘোরাঘুরি করলে আটক করা হবেঃ ইউএনও
লোহাগাড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ চট্টগ্রাম বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লোহাগাড়া উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টা থেকে আদেশ কার্যকর হবে। সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তাদের ইউনিয়নের সকল প্রবেশ পথসমূহ বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। যাতে কেউ লোহাগাড়া থেকে বাইরে যেতে না পারে ও কেউ প্রবেশ করতে না পারে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply