শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ থেকে এমদাদুর রহমানঃ— কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ঐতিহাসিক এগারসিন্দুর ইউনিয়নের মজিতপুর গ্রামে বেবুদ নামে একজন হাজং রাজা বাস করতেন। একবার প্রচন্ড খরা দেখা দেওয়ায় বেবুদ রাজা প্রজাদের হিতার্থে ৫০ এক জমি বিস্তৃত একটি দীঘি কাটলেন। কিন্তু পানির নাম-গন্ধ নেই। এর মধ্যে রাজা স্বপ্নে দেখেন যে তার রানী যদি দীঘিতে নামেন তবেই পানি উঠবে। উক্ত স্বপ্নটি রাজা তার রানীকে জানালেন। প্রজাদের মুখের পানে চেয়ে রানী দীঘিতে নামতে রাজি হলেন। তাতে রাজাও খুব খুশি হলেন এবং পরদিন রানী এক বাটি ‘কাঁচা দুধ’ ও পান-সুপারি, সিঁধুর নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দীঘিতে নামলেন। সাথে সাথেই দীঘির চারপাশ থেকে স্বচ্ছ জল এসে দীঘি ভরে গেল। কিন্তু রানী আর দীঘি থেকে উঠতে পারলেন না। চোখের পলকে রানীর কেশগুচ্ছ বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে নিমজ্জিত হয়ে গেল। রাজা রানীর জন্য পাগল প্রায়ই হয়ে গেলেন।
দীঘিটি গভীর থাকায় পানি খুবই স্বচ্ছ দেখায়। বেবুধ রাজা দীঘিটি খনন করেন বিধায় তার নাম অনুসারে এই দীঘিটি বেবুদ রাজার দীঘি নামে পরিচিতি। এ দীঘির পানিতে গাছে পাতা বা অন্য কোনকিছু পরে থাকলে তার পরদিন সকালে পারে এসে জমা হয়। লোক মুখে শোনা যায় কোন অনুষ্ঠানের জন্য দীঘির পারে দাড়িয়ে থালা, বাসুন, ও অন্যান্য তেজসপত্র চাইলে পরদিন দীঘির পারে পাওয়া যেত। তবে শর্ত ছিল যা যা নেওয়া হতো তা সঠিকভাবে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু একদিন কেহ এই শর্ত ভঙ্গ করায় এর পর থেকে তেজপত্র আর পাওয়া যায় না।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply