শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০২০ এর মার্চে সমগ্র পৃথিবী যখন মহামারি করোনার ভয়াল থাবায় জর্জড়িত, সারাদেশ লকডাউনে স্থবির, জন দূর্ভোগ ছিলো চরমে। ঠিক সে সময় সাধারণ মানুষের দুঃখ দূর্দশা লাঘব করতে নিঃস্বার্থভাবে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের পাশে আলোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়েছেন জনহিতৈষী, নিঃস্বার্থ সমাজসেবক ও নিভৃতচারী এক প্রচারবিমুখ আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রবিউল ইসলাম।
যিনি বিগত করোনাকালীন সময় সাভারের আশুলিয়ায় নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রী দুস্থ-দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে নিঃশর্তভাবে বিতরণ করেন। পাঁচ শতাধিক পরিবার তার কাছে থেকে খাদ্য সহায়তা গ্রহন করেন। প্রচন্ড শীতে দুই হাজার পিছ কম্বল নিজ হাতে শীতার্তদের মাঝে বিলিয়ে দেন এই রবিউল ইসলাম। শুধু তাই নয়; বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার `আশ্রয়ণের অধিকার, গৃহহীনরা পাবে ঘর’ এর আহবানে সাড়া দিয়ে জাতির জনকের জন্ম শতবাষির্কী উপলক্ষে তার নিজস্ব অর্থায়নে রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার কাতিলা গ্রামে আব্দুল খালেককে ঘর নির্মাণ করে দেন। সমাজের সকল মানবিক কর্মকান্ডে তিনি নিরবে নিভৃতে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। চলমান সময়ে একটা মাস্ক অথবা এক প্যাকেট খাবার বিতরণ করতে যেখানে অনেকেই দানবীর সেজে প্রচারের জন্য মিডিয়ার দারস্থ হয়, সেখাানে তিনি সম্পূর্ণ উল্টো। বরং তিনি বলেন ‘আল্লাহ আমাকে দান করার সক্ষমতা দিয়েছেন তাই দিচ্ছি, এটা গর্ব করে প্রচারের কিছু নেই। আমার ইসলাম ধর্মেও দান সদকা বা সাহায্যের প্রচার করা নিয়ে কঠোর বিধি নিষেধ আছে, ডান হাতের দানের কথা যেন বাম হাত না জানে, আমি তা মেনে চলার চেষ্টা করি’।
শুধু মন মানষিকতাই বড় নয়, তার অতীত ও বর্তমান পরিচয়টাও অনেক বড়। তিনি হলেন, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর সাভার, ধামরাই সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি, আশুলিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনসালটিং এসাসিয়েশন এর সভাপতি, ডিজাইন ওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট ফার্মের পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, নিঃস্বার্থ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী আলহাজ্ব মোঃ রবিউল ইসলাম। প্রচারবিমুখ এ লোকটি অত্যন্ত মেধাবী ও কর্মঠ, সৎ ন্যায়-নীতিবান এবং সম্পূর্ণ সাদা মনের মানুষ। একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া সাহসী বীর সৈনিক ও জাতির জনকের ঘনিষ্ঠ সহচর, বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগে নাটোর নলডাঙ্গা থানার প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম মেহের উদ্দিন মন্ডল তার বাবা। যিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিলেন অত্র এলাকার গুরুখ্যাত এবং তার নিজ এলাকা ৩নং খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আমৃত্যু খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৎকালিন সময় রবিউল ইসলাম’র বাবা মরহুম মেহের উদ্দিন মন্ডল একাধিকবার উত্তরা গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক মিটিংয়ে অংশ গ্রহন করেন। বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রবিউল ইসলাম’র রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ। ১৯৯২-৯৩ সালে কলেজের শিক্ষার্থী থাকাকালিন সময়েই তিনি নওগাঁ আত্রাই মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হন। পরে ৩নং খাজুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। দক্ষতা ও সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করায় তাঁকে খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাংগঠনিক সক্ষমতায় সেখান থেকে তিনি খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে, পরবর্তীতে নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের কার্যনিবার্হী সদস্য হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলনে রবিউল ইসলাম সরাসরি অংশ গ্রহন ও নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা ছিলো অনেক। সৈরো সরকারের পতন ঘটলেও দেশের পরবর্তি রাজনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যায়। রবিউল ইসলাম আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হওয়ায় বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপারেশন ‘ক্লিনহার্ট’ অভিযানে তাকে নির্যাতন করাসহ রাজশাহীর বাংলা ভাইয়ের বাহিনী দিয়ে তার পরিবারের লোকজনের উপর বর্বর আক্রমণ ও চিরতরে মেরে ফেলার চেষ্টা চালানো হয়। শত অন্যায় অত্যাচার সহ্য করার পরও তিনি কোনোদিন বাবার আদর্শ তথা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের আস্থায় অবিচল থেকেছেন।
পৈত্রিক নিবাস বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানায় হলেও তার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায়। স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করলেও রাজশাহী নাটোরের সাথে তার ব্যাপক যাতায়াত অব্যাহত আছে। রাজনৈতিকভাবে তিনি নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সন্মানীত সদস্য। আশুলিয়াতেও ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’র থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া প্রাণের সংগঠন যুবলীগের সাথে তার আত্মীক সম্পর্ক রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সবসময় তার সুগভীর যোগাযোগ, কেন্দ্রীয় দিক নির্দেশনার বাস্তবায়ন ও যে কোনো থানা জেলাতেই হোক মিছিল মিটিং এ যোগদান তার দলের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম কেন্দ্রীয় যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল এর খুব কাছের এবং আস্থাভাজন ব্যক্তি। তিনি সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও সামাজিক ক্লাবসহ সেবামুলক ৬০টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োমিত অনুদান দেন এবং সকল সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন, ড্রয়িং, সয়েল টেস্ট, সুপারভিশন বিনামুল্যে করেন। নিজ জন্মস্থান নাটোরের নলডাঙ্গা এলাকাতেও মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সামাজিক সংগঠনে তার নিয়োমিত অনুদান দেওয়া যেন তার পৈত্রিক ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া।
সরাসরি সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি, যতদিন বাঁচবো জাতির জনকের আর্দশ নিয়ে কাজ করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে যেখানে যা লাগে তাই দিয়ে দুস্থ-দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাবো ‘ইনশাআল্লাহ’।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply