শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জ (সাটুরিয়া) থেকে আবুবকর সিদ্দিকঃ— মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলায় গত ৯ জানুয়ারি সকালে কাওন্নারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মজনু স্ত্রী পারভীন( ২৭) ছেলে নূর মোহাম্মদের (৬) এর লাশ উদ্ধার করে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে নামে পুলিশের সিআইডি ও ডিবি পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সৌদি প্রবাসীর মজনুর ছোট ভাই সোলাইমান (৩০) কে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আটক করে। পরে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায়। আদালতে মজনু মিয়ার ছেলে জাতিজার নূর মোহাম্মদ ও ভাবি পারভীন কে হত্যার কথা স্বীকার করে সোলাইমান। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর দেবর সোলাইমান (৩০) বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুনঃ লোহাগাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ)’র ক্ষণগণনার উদ্বোধন
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সুএে জানা যায়, দেবর সোলাইমানের সাথে নিহত ভাবী পারভীনের ৫/৬ বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমের টানে গত তিন মাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসে । এরপর থেকেই ভাবী তাকে প্রতিনিয়ত বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। গত বুধবার রাতে সোলাইমান তার ভাবির রুমে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। সে সময় ভাবী পারভীন তাকে আবারও বিয়ের কথা বলে। এতে সুলাইমান অপরগতা প্রকাশ করলে ভাবী পারভীন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সোলাইমান ক্ষিপ্ত হয়ে রুমের ভেতরে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে প্রথমে ভাবির গলায় আঘাত করে। পারভীনের ডাক চিৎকারে পাশে ঘুমিয়ে থাকা ভাতিজা নুরু মোহাম্মদ (৬) জেগে উঠে। সে সময় সোলাইমান কে চিনে ফেলে। সোলাইমান তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজ রুমে এসে ঘুমিয়ে থাকে।
ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। স্হানীয় এলাকাবাসী ঘাতক সোলাইমানের ফাঁসি দাবি করেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply