মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ— অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৬ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হবে। সেই সঙ্গে একই ডিজাইনে হবে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই উপহার থাকবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। ইতিমধ্যে প্রকল্পের নকশা দেখে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুনঃ সিংড়ায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পুষ্পস্তবক অর্পণ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটির নাম ঠিক করা হয়েছে ‘বীর নিবাস’। এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে নির্মাণ করা হবে প্রায় ১৬ হাজার বাড়ি। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। এসব বাড়ি হবে একতলাবিশিষ্ট। থাকবে তিন বেডরুম ও একটি ড্রইং-ডাইনিং। প্রতিটি বাড়ি হবে ৯৮০ বর্গফুটের। চার ডেসিমাল জমিতে ৯০০ বর্গফুট আয়তনের এক একটি ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফ-উর রহমান এ বিষয়ে বলেন, প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করে শিগগিরই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। অনুমোদন পেলেই এগুলো ৪৯০টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, এটি হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি নির্মাণের দ্বিতীয় ফেইজ। এর আগে প্রথম ফেইজে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি আবাসন নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। যার নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। নীতিমালার কাজ শেষ হলেই সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে। সূত্র জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কবরস্থান ও একই নকশায় কবর সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে স্মার্টকার্ড বা পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এর আগে দেশের কৃতী সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে সারা দেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি বাসস্থান নির্মাণ ও বরাদ্দ দেওয়া হয়। অসহায় এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও প্রায় ১৬ হাজার বাসস্থান নির্মাণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় পর্যায়ের এই প্রকল্পের জন্য প্রথমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ছিল পাঁচতলাবিশিষ্ট ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণের। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সজনিত সমস্যার কথা বিবেচনায় নিয়ে ওই প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বাতিল করে দেয়। এখন একতলাবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করা হবে। যাতে সহজেই বসবাস করতে পারবেন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা। শুধু ‘বীর নিবাস’ নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কবরস্থান নির্মাণের পরিকল্পনা করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সব মুক্তিযোদ্ধার জন্য একই নকশার কবর সংরক্ষণের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সুবিধার জন্য দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তাৎক্ষণিক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সব উপজেলা সরকারি হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং বিশেষায়িত হাসপাতালের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
—: সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন :—
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply