শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
আজকের দিগন্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ— রামসাগর দিনাজপুর জেলা শহরের দক্ষিণে তাজপুর গ্রামে দীঘিটি অবস্থিত। এটি মনুষ্য নির্মিত সবচেয়ে বড় দিঘী। রামসাগরের আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার ও প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। দীঘিটির পশ্চিম পাড়ের মধ্যখানে একটি ঘাট ছিল যার কিছু অবশিষ্ট এখনও রয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির বেলেপাথর স্ল্যাব দ্বারা নির্মিত ঘাটটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৪৫.৮ মিটার এবং ১৮.৩ মিটার। দীঘিটির পাড়গুলো প্রতিটি ১০.৭৫ মিটার উঁচু। ঐতিহাসিকদের মতে, দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ পলাশীর যুদ্ধের আগে এই রামসাগর দিঘি খনন করেছিলেন।
এই দিঘীর নামকরণের পেছনে কথিত আছে, ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে একবার প্রচন্ড খরায় যখন জনজীবন পর্যুদস্ত, প্রজারা রাজা প্রাণনাথ রায়ের কাছে আসেন সাহায্যের জন্য। প্রজাদরদী রাজা প্রচুর অর্থ আর লোকবল লাগিয়ে এই দিঘী খনন করান। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় পানির দেখা আর মেলে না। একদিন রাজা স্বপ্নে দেখতে পান যদি তার পুত্রকে এই দিঘীর জন্য উৎসর্গ করতে পারেন তবেই আসবে পানি। প্রজার দুঃখ ঘোচাতে রাজা দিঘীর মাঝখানে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। পরদিন ভোরে সাদা পোশাকে রাজপুত্র রামনাথ হাতির পিঠে চড়ে সেই মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। একসময় মন্দিরে প্রবেশ করেন। সাথে সাথে মাটি থেকে পানির ধারা বের হতে শুরু হয় তাতে তলিয়ে যান রাজপুত্র। সেই থেকে রাজপুত্রের স্বরণে এই দিঘীর নাম হয় রামসাগর।
—: সূত্রঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ :—
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply