মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি থেকে সাইদুল ইসলামঃ— পবিত্র কোরআনে সৃষ্টি জগতের নানা রহস্য, উচ্চতর জ্ঞান-প্রজ্ঞা, নৈতিক ও জীবন গড়ার শিক্ষাসহ অশেষ জ্ঞান এবং তথ্যের উৎসে ভরপুর। চিরমধুর, চিরনবীন ও বিশ্বজনীন গ্রন্থ কোরআনে কারিমের উপযোগিতা সব যুগে এবং সব স্থানে কার্যকর। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর অন্যতম হলো- কোনো কোনো বক্তব্য ও ঘটনার পুণরাবৃত্তি। এসব পুনরাবৃত্তি মোটেই একঘেয়ে নয়, বরং সৃষ্টিশীল ও নতুনত্বে ভরপুর হওয়ায় অত্যন্ত মনোজ্ঞ ও আকর্ষণীয়। কোনো কিছুর গুরুত্ব বোঝানোর জন্য আধুনিক যোগাযোগ বিদ্যায়ও সৃষ্টিশীল পুনরাবৃত্তিকে খুবই কার্যকর পন্থা বলে ধরা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনের ব্যাখ্যাকারকদের মতে, পুনরুল্লোখিত আয়াতগুলো পরস্পরকে ব্যাখ্যা করে এবং অনেক অস্পষ্টতা দূর করে।
আরও পড়ুনঃ নলডাঙ্গায় উপজেলা পর্যায়ে ৪৩ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণ
যারা কোরআন মুখস্ত করেন, তাদের কোরআনের হাফেজ বা হাফেজে কোরআন বলা হয়। কোরআন শুধু সর্বাধিক পঠিতই নয় বরং মুখস্তকরণের দিক থেকেও কোরআন রয়েছে শীর্ষে। কোরআন যত মানুষ মুখস্ত করেছে, পৃথিবীর আর কোনো গ্রন্থ কেউ হুবহু মুখস্ত করেনি। পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি হাফেজে কোরআন রয়েছেন।
ঝালকাঠির এক কিশোর মাত্র ৬ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। তার নাম মোঃ বায়েজিত। সে ঝালকাঠি জেলা রাজাপুর উপজেলার দারুল উলুম কওমিয়া মাদরাসার ছাত্র। বায়েজিত মাত্র ৬ মাসে পুরো কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। কোরআন মুখস্ত করার আগে সে মাত্র দেড় বছর সময় নিয়ে কোরআনের দেখে দেখে, সহিহ-শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করা শেখে।
প্রায় ১০ বছর বয়সী এই হাফেজে কোরআনের শিক্ষকের নাম ক্বারি মোঃ বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, বায়েজিত নাজেরা পড়া শেষ করে শুরুর দিকে ২ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্ত করতে থাকে। পরে সে ৭/৮ পৃষ্ঠা করে মুখস্ত করা শুরু করে। এভাবে সে পুরো কোরআন মুখস্ত করে ফেলে। এখন সে সকালে আধা পারা (১০ পৃষ্ঠা), বিকালে আধা পারা করে মোট ১ পারা কোরআন শুনায় তার শিক্ষককে। বায়েজিত এর বাবা মোঃ সাইদুল ইসলাম একজন চাকুরীজীবী সে ঝালকাঠি পৌরসভার সহ-কারী কর নির্ধারক এবং মাতা গৃহিনী মোসাম্মদ শিরীন সুলতানা। বিষ্ময় সৃষ্টি কোরআনের হাফেজ মোঃ বায়েজিতের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার আলগি গ্রামে ।
শুধু বায়েজিতই না, দেড় বছরে কুরআন মুখস্ত করে হাফেজ হয়েছেন একই উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামীয়া দ্বিনীয়া হাফেজি মাদ্রাসা থেকে মোঃ জোবায়ের খান মুত্তকিন। সে সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন খান’র পুত্র। তা মা গৃহিনী মরিয়ম বেগম। অপরজন মোঃ ওমর ফারুক হাওলাদার রাজাপুরের মনোহরপুর গ্রামের বেসরকারী চাকুরীজীবী মোঃ শফিকুল ইসলামের পুত্র। তার মা গৃহিনী মাহমুদা বেগম।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ জানান, জোবায়ের খান মুত্তাকিন ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক (পাঠগ্রহণ) শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর শুনানী করে হাফেজ হয়েছে। মোঃ ওমর ফারুক ২০১৮ সালের মে মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক (পাঠগ্রহণ) শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর শুনানী করে হাফেজ হয়েছে। তাদের জন্য মাদ্রাসা থেকে দোয়া করা হয়েছে। কুরআনের হাফেজদের সার্বিক খাইরিয়াত (মঙ্গল) কামনা করেন তিনি।
কুরআনের হাফেজ (বা থেকে) মোঃ বায়েজিত, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ জোবায়ের খান মোত্তাকিন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply